শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
ইন্দুরকানী বার্তা:
বর্তমান সময়ে আলোচিত সমালোচিত চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণির আসল নাম শামছুন্নাহার স্মৃতি। পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ সীমান্তের ৪ নম্বর ইকড়ি ইউনিয়নের সিংহখালী গ্রামে নানা বাড়িতে জন্ম গ্রহন করেন তিনি।
এসএসসি পরীক্ষার রেকর্ডপত্র অনুযায়ী ১৯৯২ সালে জন্ম তার। নানি মৃত ফাতিমা বেগম ১০৩ নং দক্ষিণ সিংহখালী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (বর্তমানে সরকারি) প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন।
সেই বিদ্যালয়ে পরীমণির প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু। স্মৃতি (পরীমণি) পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক পরীমণির চাচাত নানা মোঃ বেলায়েত হোসেন গাজী।
শুক্রবার সরেজমিন সিংহখালী গ্রামে পরীমণির জন্মস্থান গাজী বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল প্রাচির ঘেরা সিমসাম এক তলা বাড়িতে ছোট খালা ও খালু বসবাস করেন। খালা গৃহিনী ও খালু জসিম স্থানীয় একটি স্কুল এন্ড কলেজের অফিস সহকারী। নানা সাবেক শিক্ষক সামছুল হক গাজী পরীমণি গ্রেফতারের পূর্বে ঢাকায় নাতনির কাছে গিয়েছেন।
জানা যায়, পরীর বাবার বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার সালাবাদ ইউনিয়নের বাকা গ্রামে। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর সীমান্তর (সিংহখালী গ্রাম সংলগ্ন) ভগিরথপুর বাজারে পুলিশ ফাঁড়িতে কনেষ্টবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন শামছুন্নাহার স্মৃতির (পরীমণি) বাবা মোঃ মনিরুল ইসলাম।
পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে সিংহখালী গ্রামের মোঃ সামছুল হক গাজীর বড় মেয়ে সালমা সুলতানাকে ১৯৮৮ সালে বিবাহ করেন পুলিশ কনেষ্টবল মোঃ মনিরুল ইসলাম। পরীর নানা সামছুল হক গাজী ভগিরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। স্মৃতির বয়স যখন তিন বছর তখন মায়ের মৃত্যু হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিংহখালী গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, স্বামীর বাড়ি বসে ওর মা আত্মহত্যা করেছে। তখন থেকে নানা নানির ও মেজ খালার কাছে বড় হওয়া স্মৃতি (পরীমণি) পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তির্ণ হওয়ার পর ভগিরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে মানবিক বিভাগে এসএসসি তে অকৃতকার্য হয়ে ২০১১ সালে জিপিএ ৩ দশমিক ৩৮ পেয়ে পাশ করেন বলে বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন স্কুলে লেখাপড়া অবস্থায় ভগিরথপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে এক ব্যাংক কর্মকর্তার ছেলে ইসমাইল হোসেনের সাথে সামছুন্নাহার স্মৃতির (পরীমণি) প্রথম বিয়ে হয়ে ছিলো। সে বিয়ে প্রায় দু’বছর স্থায়ী হয়।
বিয়ে কেন বিচ্ছেদ হলো আর কোন পক্ষ এ জন্য দায়ী জানতে চাইলে এ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রথম স্বামী ইসমাইল। তার পর পরীমণি নানার তত্বাবধানে ঢাকায় চলে যান বলে এলাকায় জনশ্রুত রয়েছে।
মেজ খালা ও নানি মারা যাওয়ার পর ছোট খালা তাসলিমা পাপিয়ার স্নেহে থাকতেন আজকের পরীমণি। ২০১২ সালে দুর্বৃত্তদের হাতে তার বাবা সিলেটে নিহত হন বলে জানা গেছে।